Tuesday, 24 February 2015

“সুস্থ্যতা ও অবসর আল্লাহ্‌র নিয়ামত” আপনার স্বাস্থ্য- রক্ষার দায়িত্ব আপনারই।


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম 

আপনার স্বাস্থ্য, রক্ষার দায়িত্ব আপনারই!
---------------------------------------------------------------------------------------------- 


এটা সকলের জানা যে, "রোগ চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম"! কারণ, যখন কেউ কোন রোগে আক্রান্ত হয় তখন তাকে এই রোগের কারণে নানা জটিল ও কঠিন সময় পার করতে হয়। সহ্য করতে হয় নানা রকম কষ্ট। এর পর ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ, রোগ নির্ণয় ও পরিশেষে ডাক্তারের দেয়া প্রেসক্রিপশনমত ঔষধ কিনতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। কখনও কখনও শুধু ঔষধে কাজ হয়না। দরকার হয় অপারেশনের। কোন কোন ক্ষেত্রে শরীরের কোন কোন অঙ্গ প্রতঙ্গ পাল্টে ফেলতে হয়। শরীরে রক্ত সঞ্চালণের মত কাজটি আপনাকে করতে হবে নির্দৃষ্ট সময় পর পর। ক্যামো থ্যরাপীর মত পীড়াদায়ক চিকিৎসা পদ্ধতিও আপনাকে গ্রহণ করতে হবে ক্যানসারের মত জীবনঘাতী মরন ব্যধীতে। আরও নানা কঠিন ও জটিল সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।সুতরাং আমাদের উচিৎ রোগগ্রন্থ হওয়ার আগে আল্লাহ্ আমাদের সুস্থতা নামক যে নিয়মাত দান করেছেন তার সঠিক পরিচর্যা করা। নিজেদেরকে সুস্থ রাখা। নিজেদের উপর যুলুম না করা। পরিবেশ বিপর্যয় না ঘটানো। আমরা যদি কিছু বিষয় মেনে চলতে পারি তাহলে অনেক রোগের হাত থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারব, ইনশাআল্লাহ্!

এজন্য আমাদের করণীয়ঃ


* স্বাস্থ্য সচেতনা গড়ে তোলা ও তার বাস্তবায়ন ঘটানো।
* রুটিন মাফিক জীবন পরিচালনা করা। যেমন- দ্রুত ঘুমাতে যাওয়া (ঈশার সালাতের পর ঘুমিয়ে পড়া) এবং দ্রুত অর্থাৎ খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠা। (নিজে ও পরিবারের সবাইকে নিয়ে ফজরের সালাত জামাআ'তে আদায় করা।
* পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের ওযুর আগে মিশওয়াক করে দাঁত পরিস্কার করে নেয়া।
* ফজর সালাতের পর কিছুক্ষণ ব্যয়াম করার চেষ্টা করা। কোন কিছু না হলেও অন্তঃত ৩০মিনিট হাটা; মাঝে মাঝে হালকা দৌড়নো।
* নিয়মিত গোসল করা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, কাপড়-চোপড়, বিছানা পত্র ও বসবাসের ঘরের ভিতর-বাহির পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
* হালাল রুজি খাওয়া ও মন্দ কিছু পরিত্যাগ করা।
* খাওয়ার আগে ভালভাবে হাত ধোয়া, বাসনপত্র পরিষ্কার করে তাতে খাবার গ্রহণ করা। যতটা সম্বব টাটকা খাবার গ্রহন করা। অতি গরম ও অতি ঠান্ডা খাবার থেকে বিরত থাকা।
* সময় মত ও নিয়মিত স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করা। অতিরিক্ত তেল, চর্বি, বাসি-পঁচা, অতি ভাজা ও মসলা যুক্ত খাবার পরিহার করা।
* অতিরিক্ত লবণ ও মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকা।
* টাটকা শাক-সবজি ও ফল-মূল বেশী বেশী খাওয়া।
* মাছ, মাংস, দুধ, ডিম পরিমিত খাওয়া।
* মধু, কলোজিরা, মাসরুম, জয়তুন ও সয়াবিন পরিমিত ও নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করা।
* পরনিন্দা, হিংসা-বিদ্বেষ থেকে দূরে থাকা।
* অসুস্থ প্রতিযোগিতা পরিহার করা।
* সর্বদা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা পাশাপাশি নফল সালাত (রাতের) ও নফল সিয়াম পালনের চেষ্টা করা।
* সমাজে ভাল কাজে অংশ গ্রহণ করা। দরিদ্র, এতিম, অসহায় ও রোগগ্রস্ত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো।


......................... ডাঃ এম এম আব্দুল হালিম

No comments:

Post a Comment