বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
-------------------
Heart Disease বা হৃদরোগ শব্দটি আমাদের কাছে ব্যপক পরিচিত একটি শব্দ। হৃদরোগের ফলে গোটা পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছে। খোদ উন্নত বিশ্বের দেশগুলিতেও এই রোগে মৃত্যু বরণ করছে অসংখ্য মানুষ এমনকি তা' উন্নয়নশীল দেশের তুলুনায় অনেক বেশী। এই রোগে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশী আমেরিকাতে। CDC এর তথ্য মতে প্রতি বছর আমেরিকাতে হৃদরোগে মারা যায় 610,000 জন মানুষ; যা তাদের দেশের মোট মৃতের প্রতি ৪জনে ১জন। WHO এর তথ্য মতে ২০১২ সালে হৃদরোগে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা ছিল- 17.5 million. অপরদিকে আমাদের দেশেও এই রোগে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন মারাত্বক আকার ধারণ করছে। July, 2013 Indian Heart Journal 65(2013) 424-435 এ প্রকাশিত Coronary Artery Disease in Bangladesh: A Review by Dr A.K.M Monwarul Islam and Prof. A. A. S Majumdar নামক এক নিবন্ধে একটি ভয়াবহ চিত্র উঠে আসে। সেখানে উল্লেখ করা হয় " ১৯৮৬-২০০৬ সালের মধ্যে (CVD) হৃদরোগে মৃত্যুর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরুষের মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০গুন; (১০০,০০০ জনে ১৬ জন থেকে ৪৮৩ জন) আর মহিলাদের মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৭গুন; (১০০,০০০ জনে ৭ জন থেকে ৩৩০ জন) এ উন্নিত হয়েছে।" বর্তমানের সঠিক পরিসংখ্যান জানার জন্য তারা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এদিকে WHO, April 2011 এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশে শুধু মাত্র Coronary Heart Disease এ ২০১১ সালে মৃতের সংখ্যা ১৬৩,৭৫৯ জনে উন্নিত হয়েছে, যা মোট মৃত্যুর ১৭.১১% বা প্রতি ১০০০০০ জনের মধ্যে ২০৩.৬৯জন (লোক মারা যায় এই রোগে)। হৃদরোগে বাংলাদেশ এর অবস্থান ২৫তম। সুতরাং এমন একটি ভয়াবহ ও মারাত্বক রোগ থেকে আমাদের বেঁচে থাকা একান্ত জরুরী হলে মনে করি। "মনে রাখা জরুরী যে, রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেয়ার চেয়ে প্রতিরোধ করাই প্রতিটি সচেতন মানুষের কাম্য হওয়া উচিৎ।"
Heart বা হৃদয় (হৃৎপিণ্ড, অন্তর, মন) হল- শরীরের প্রধানতম অঙ্গ। যার সুস্থ্যতা ও পবিত্রতা হল সমস্ত শরীরের সুস্থ্যতা ও পবিত্রতা; যার অসুস্থ্যতা ও অপবিত্রতা হল গোটা শরীরের অসুস্থ্যতা ও অপবিত্রতা। চিকিৎসা বিজ্ঞানে হার্টকে শরীরের কেন্দ্রীয় অঙ্গ বলা হয়। আর এর প্রধান কাজ বলে ধরা হয় "সমস্ত শরীরের কার্বনডাই অক্সাইড যুক্ত রক্ত তার শিরার মাধ্যমে গ্রহণ করে তার ফুসফুসীয় প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন যুক্ত করে ধমনী নালীর মাধ্যমে সমস্ত শরীরে পৌঁছে দিয়ে জীবন প্রবাহকে সচল রাখা।"
এটা একটা পাম্পার এর মত কাজ করে এক দিক থেকে রক্ত গ্রহণ করে আর অন্য দিক থেকে তা দেহে ছড়িয়ে দেয় তার মধ্যমকার চারটি প্রকোষ্ঠের মাধ্যমে। আর এই সংকোচন প্রসারণ ক্ষমতা সম্পন্ন হার্টটি এক ধরণের বিশেষ ইলেকট্রিক সিগনাল এর মাধ্যমে শক্তি প্রাপ্ত হয়ে কার্যকারী হয়। আর এটি আল্লাহ্ তায়ালার সৃষ্টির এক বিস্ময়কর ব্যাপার। আর ইসলামের দৃষ্টিতে হার্ট শুধু মাত্র একটা সাধারণ অঙ্গ নয় বরং এটি আল্লাহ্ তায়ালার আদেশ কার্যকরী হওয়ার মত ক্ষমতা সম্পন্ন অঙ্গ। আদম (আঃ)কে মাটি হতে সৃষ্টির পর তার শরীরে আত্মা ফুকে দিয়েছিলেন আল্লাহ্ তায়ালা। আর তাতেই কার্যকরী হয়ে উঠল গোটা দেহ। এ বিষয়ে দেখুন-(সূরা হিজর ২৫/২৯; মুমিনূন ২৩/১২; ছাফফাত ৩৭/১১; রহমান ৫৫/১৪; তীন ৯৫/৪ ইত্যাদি।) সুতরাং বলা যায় হার্ট এর Anatomical ও Physiological গঠন ও কার্যকারিতা ছাড়াও রয়েছে Spiritual কার্যকারিতা ও তার প্রভাব। নিম্নে ভাল ও মন্দ কাজে হৃদয়ে তার প্রভাব নিয়ে দুটি উদাহরণ দেয়া হল। আল্লাহ্ তায়ালার বাণীঃ
"وَمَن يُؤۡمِنۢ بِٱللَّهِ يَهۡدِ قَلۡبَهُۥۚ"
"যে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, আল্লাহ তার হৃদয়কে হেদায়াত করেন।" (সূরা তাগাবুন, আয়াতঃ ১১)
" أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ ٱلۡقُرۡءَانَ أَمۡعَلَىٰ قُلُوبٍ أَقۡفَالُهَآ "
“তারা কি কুরআনকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে না, নাকিতাদের অন্তরে তালা লাগানো” (সূরা মোহাম্মদ: ২৪)"
«فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٞ فَزَادَهُمُ ٱللَّهُ مَرَضٗاۖ »
"তাদের অন্তরে রয়েছে রোগ এবং আল্লাহ সে রোগ আরো বাড়িয়ে দেন” [সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ১০]
এখন আমরা জেনে নেব Heart Disease বা হৃদরোগ কাকে বলেঃ
Heart disease বা হৃদরোগ হল- হার্ট বা হৃদয় কেন্দ্রিক রোগের সমষ্টি। একক কোন রোগকে হার্ট ডিজিজ বা হৃদরোগ বলা হয়না। সোজা কথায় হার্ট বা হৃদয় কেন্দ্রিক যত সমস্যা রয়েছে তাই হৃদরোগ। হার্ট ডিজিজকে অন্য শব্দে কার্ডিয়াক ডিজিজ বলা হয়। যদিও চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের কেউ কেউ অবশ্য হার্ট ডিজিজকে কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ বলে থাকেন কিন্তু এই সংজ্ঞাটি সঠিক নয়। কারণ, কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ বলতে রক্ত নালিকা ও হার্টের রোগসমূহকে বুঝায়।
আর ইসলামের দিক থেকে "ক্বালব" (হৃদয়), "নাফস" (আত্মা) ও "ছ্বদর" (বক্ষ/অন্তর) এই তিনের সমষ্টি বা কোন একটি (ক্বালব) বা দুটির সমস্যা হলে হৃদরোগ বলে ধরা হয়।
আমাদের লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে হৃদরোগ থেকে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখা। কারণ, এটা আমরা নিচয়ই জানি "রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা করার পূর্বে তা' প্রতিরোধ করা শ্রেয়। তাতে জীবন ও অর্থ উভয়টিই বাচে।"
আসুন জেনে নেই হার্ট ডিজিজ বা হৃদরোগের সম্ভব্য কারণ সমূহ কি কি? যাতে করে আমরা এই সমস্ত সমস্যা সৃষ্টিকারী বিষয়গুলি থেকে বিরত থেকে নিজেরা নিরাপদে থাকতে পারি। হৃদরোগের সম্ভব্য কারণ সমূহঃ
ক) ধূমপান
খ) স্ট্রেস বা (মানসিক/শারিরিক) চাপ
গ) অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ
ঘ) অলসতা তথা শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়ম না করা।
ঙ) বিভিন্ন মেডিসিন পার্শ্ব প্রতক্রিয়া
উপরোক্ত কারণে দেহাভন্তরে কিছু পরিবর্তন সংগঠিত হয়। যেগুলি হার্ট ডিজিজ বা হৃদরোগের কারণ হিসাবে ধরা হয়।
১) রক্তে এলডিএল বা খারাপ কলেস্টেরল এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া
২) উচ্চ রক্তচাপ
৩) ডায়াবেটিস
৪) অণুজীব (দেহে ভাইরাস / ব্যকটেরিয়ার আক্রমন) ও
৫) অতিরিক্ত ওজন।
এখন কিছু রোগের নাম জেনে নেই যেগুলি আমাদের কাছে বেশ পরিচিত।
ক) করোনারী হার্ট ডিজিজ (CHD)
খ) হার্ট ফেইলিউর (HF)
গ) হার্ট অ্যাটাক (MI- মায়োকার্ডিইয়াল ইনফারকশন)
ঘ) হাইপার টেনশন ও সিনকোপ (উচ্চ রক্তচাপ ও নিম্ন রক্তচাপজনিত সংজ্ঞাহীনতা) [HTN & Syncope]
ঙ) হার্ট ভাল্ব ডিজিজ (HVD)
চ) কনজেনিটাল হার্ট ডিজিজ (জন্মগত হার্টের সমস্যা) [CVD]
ছ) রিউমেটিক হার্ট ডিজিজ (বাতজ্বর জনিত হৃদরোগ) [HRD]
*আমরা এগুলি নিয়ে পরবর্তীতে ধারাবাহিক আলোচনা করবো, ইনশাআল্লাহ্!
আসুন এখন জেনে নেই হার্ট ডিজিজ বা হৃদরোগ হলে সাধারণত কি কি সমস্যা বা লক্ষণ দেখা দেয়। প্রথম কথা হল- হার্ট এর সুখ একদিনে হয় না। বেশীরভাগ রোগই দীর্ঘ দিন দেহে পুষে রাখা রোগের ফসল। ধরুন- উচ্চ রক্তচাপ; তা' কিন্তু একদিনে হয় না, এমনকি প্রাথমিক অবস্থায় (প্রাইমারি HTN) ধরা পড়ে না। পরবর্তীতে যখন দ্বিতীয় ধাপে (secondary HTN) উন্নিত হয় তখন এর বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া আমরা অনুভব করি। ঠিক এমনই ভাবে রিউমেটিক হার্ট ডিজিজ (বাতজ্বর জনিত হৃদরোগ) [HRD] একদিনে হয় না। প্রথমে streptococcus ব্যকটেরিয়ার আক্রমনে (সাধারণত গলায় এই জীবাণুরা আক্রমন করে) Rheumetic Fever বা বাতজ্বর হয় আর এটা শিশু বয়স থেকে যৌবনে পদার্পণের সময়ে অর্থাৎ ৫-১৫ বৎসরের মধ্যেই বেশী হয়। তারপর এই রোগ ঠিক মত নির্ণয় না করতে পারা ও ঐ অবস্থায় রেখে দেয়ার ফলে এক সময় হার্টের কোষে আক্রমণ করে। যার ফলাফল হয় Rheumatic Heart Disease বা বাতজ্বর জনিত হৃদরোগ। উচ্চ রক্তচাপ যেমন এক দিনে হয় না ঠিক তেমনই ডায়াবেটিসও একদিনে শরীরকে আক্রান্ত করে না। একদিকে যখন রক্তে গ্লোকোজের পরিমাণ বেড়ে যায় অপর দিকে ইন্সুনিল উৎন্নকারী পেনক্রিয়াস যখন পর্যাপ্ত ইন্সুলিন উৎপন্ন করতে পারে না ঠিক তখনই দেখা দেয়া বহু রোগের সাহায্যকারী এই মারাত্বক রোগ ডায়াবেটিস এর; যা হার্ট ডিজিজ বা হৃদরোগের অন্যতম সহায়ক। তাই, আমরা প্রতিটা রোগের আলাদা আলাদা সমস্যা না জেনে আজ জেনে নেব হৃদরোগের সাধারণ লক্ষণগুলি কি কি?
১) বুকে প্রচণ্ড চাপযুক্ত / ধারালো ব্যথা (যেমনটি কোন কিছু দিয়ে কাটলে অনুভত হয় বা শিং মাছ কাঁটা বিধিয়ে দিলে যেমন অসহ্য ব্যথা হয়) [Angina/ Chest pain]
২) দীর্ঘক্ষণ ধরে ব্যথা। ব্যথা বুকে উৎপন্ন হয়ে কাধ, হাত (বিশেষ করে প্রথম দিকে বাম হাত, বাম কাধ ও ঘাড়) গলা, চোয়াল, ঘাড় ও পিছনে ছড়িয়ে পড়ে।
৩) শ্বাস নিতে কষ্ট হয় ফলে ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়।
৪) বুক ধড়ফড় করা ও অনিয়মিত হৃদ স্পন্দন কখনও বুকে কান পাতলে শব্দও শোনা যেতে পারে।
৫) হৃদ স্পন্দন দ্রুত হওয়া (Faster Heart Beat)
৬) দুর্বলতা ও মাথা ঘোরা
৭) বমি হওয়া
৮) ঘাম হওয়া
৯) সঙ্গাহীন বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
১০) পা, পায়ের গিরা ও পেটে পানি জমা ইত্যাদি।
এখন জেনে নিই কীভাবে আমরা এমন জটিল, কঠিন ও কষ্টদায়ক রোগ থেকে বেঁচে থাকতে পারি, সেটা জেনে নেই।
আল্লাহ্ তায়ালা মানুষ সৃষ্টির সাথে সাথে মানুষ কীভাবে চলবে, তাদের জীবন যাপন কেমন হবে কি করলে তারা নিরাপদ ও শান্তিতে থাকতে পারবে তা' বলে দিয়েছেন। যখন আমরা আল্লাহ্ তায়ালার দেয়া নিয়মের ব্যতিক্রম করি তখনই ঘটে নানা সমস্যা, নানা জটিলতা। আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের জন্য কিছু খাবার হারাম করেছেন। কিছু কাজকে আমাদের জন্য হারাম করেছেন। যেগুলো আমাদের জন্য হারাম করেছেন তা' ছাড়া বাকি সব খাবারই হালাল। আবার হালাল খাবার গ্রহণ করার নিয়মও বলে দিয়েছেন। আল্লাহ্ তায়ালা বলেনঃ
" يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُلُوا مِمَّا فِي الْأَرْضِ حَلَالًا طَيِّبًا وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ ۚ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ"
"হে মানুষ, যমীনে যা রয়েছে, তা থেকে হালাল পবিত্র বস্তু আহার কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট শত্রু।" (সূরা বাকারা, আয়াতঃ ১৬৮)
আল্লাহ্ তায়ালা আরও বলেনঃ
"وَكُلُوا وَاشْرَبُوا وَلَا تُسْرِفُوا ۚ إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُسْرِفِينَ"
"... এবং খাও ও পান কর কিন্তু অপচয় কর না। নিশ্চয় আল্লাহ্ অপচয়কারীদেরকে ভালবাসেন না। (সূরা আরাফ, আয়াতঃ ৩১)
সুতরাং এখানে একটা মূলনীতি আমাদের জন্য যে, হালাল খাদ্যও নিয়মতান্ত্রিক ও পরিমিত খেতে হবে। একেবারে কম যেটা জীবন রক্ষায় শক্তি যোগাতে সক্ষম নয় এমন খাওয়া যেমন নিষিদ্ধ, ঠিক তেমনই অধিক পরিমাণ খাওয়াও নিষিদ্ধ। কারণ, তা' তাৎক্ষণিক ক্ষতি বা ধীরে ধীরে শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টির মাধ্যমে জীবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবে। আর আল্লাহ্ তায়ালা বলেনঃ
"وَلَا تَقْتُلُوا أَنفُسَكُمْ ۚ إِنَّ اللَّـهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا"
"...... আর তোমরা নিজেদের হাতে নিজেদের ধ্বংস কর না। নিশ্চয় আল্লাহ্ তোমাদের প্রতি অতি দয়ালু।" (সূরা নিসা, আয়াতঃ ২৯)
আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের এই বিষয়ে সতর্ক করেই ক্ষান্ত হননি। বরং আমাদের জন্য কি কি ক্ষতিকর তা' আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন।
আল্লাহ্ তায়ালা বলেনঃ
"حُرِّمَتْ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةُ وَالدَّمُ وَلَحْمُ الْخِنزِيرِ وَمَا أُهِلَّ لِغَيْرِ اللَّـهِ بِهِ وَالْمُنْخَنِقَةُ وَالْمَوْقُوذَةُ وَالْمُتَرَدِّيَةُ وَالنَّطِيحَةُ وَمَا أَكَلَ السَّبُعُ إِلَّا مَا ذَكَّيْتُمْ وَمَا ذُبِحَ عَلَى النُّصُبِ وَأَن تَسْتَقْسِمُوا بِالْأَزْلَامِ ۚ ذَٰلِكُمْ فِسْقٌ"
"তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে মৃত জীব, রক্ত, শুকরের মাংস, যেসব জন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গকৃত হয়, যা কন্ঠরোধে মারা যায়, যা আঘাত লেগে মারা যায়, যা উচ্চ স্থান থেকে পতনের ফলে মারা যা, যা শিং এর আঘাতে মারা যায় এবং যাকে হিংস্র জন্তু ভক্ষণ করেছে, কিন্তু যাকে তোমরা যবেহ করেছ। যে জন্তু যজ্ঞবেদীতে যবেহ করা হয় এবং যা ভাগ্য নির্ধারক শর দ্বারা বন্টন করা হয়। এসব গোনাহর কাজ।" (সূরা আল-মায়িদা, আয়াতঃ ০৩)
তিনি আরও বলেনঃ
"يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْأَنصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ"
"হে মুমিনগণ! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ণয়ক শর ঘৃণ্যবস্তু, শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা তা(কে) বর্জন কর তাহলে তোমরা সফলকাম হতে পারবে। " (সূরা আল- মায়িদা, আয়াতঃ ৯০)
এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
[ كل مسكر خمر وكل مسكر حرام ومن شرب الخمر في الدنيا فمات وهو يدمنها لم يتب لميشربها في الآخرة " . رواه مسلم"]
"মাদকতা আনয়নকারী প্রত্যেক বস্ত্তই মদ এবং প্রতিটি মাদকদ্রব্য হারাম" ( সহিহ আল-মুসলিম, মিশকাত; হাদিস ন-৩৬৩৮)।
অন্যত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
[ ماأسكر كثيره فقليله حرام " . رواه الترمذي وأبو داود وابن ماجه"]
"যার বেশী পরিমাণে মাদকতা আসে, তার কম পরিমাণও হারাম" (সুনান আত-তিরমিযী, সুনানু ইবনু মাজাহ, মিশকাত; হাদিস ন-৩৬৪৫, সনদ ছহীহ)।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
[ "الحلال بين والحرام بين وبينهما مشتبهات لا يعلمهن كثير من الناس فمن اتقى الشبهاباستبرأ لدينه وعرضه ومن وقع في الشبهات وقع في الحرام كالراعي يرعى حول الحمى يوشكأن يرتع فيه ألا وإن لكل ملك حمى ألا وإن حمى الله محارمه ألا وإن في الجسد مضغةإذا صلحت صلح الجسد كله وإذا فسدت فسد الجسد كله ألا وهي القلب "]
"হালাল স্পষ্ট, হারাম স্পষ্ট। এর মাঝে একটি সন্দেহযুক্ত জিনিস রয়েছে যা হারাম।" (সহিহ আল-বুখারী, সহিহ আল-মুসলিম, মিশকাত; হাদিস ন- ২৭৬২)।
আরও আল্লাহ্ তায়ালা আরও বলেনঃ
" إِنَّمَا يُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَن يُوقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاءَ فِي الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ وَيَصُدَّكُمْ عَن ذِكْرِ اللَّـهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ ۖ فَهَلْ أَنتُم مُّنتَهُونَ"
"শয়তান তো মদ, জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ ঘটাতে চায় এবং তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণে ও সালাতে বাধা দিতে চায়। তবে কি তোমরা নিবৃত্ত হবে না।”
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন:
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ، عَنْ عَامِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْحَلاَلُ بَيِّنٌ وَالْحَرَامُ بَيِّنٌ، وَبَيْنَهُمَا مُشَبَّهَاتٌ لاَ يَعْلَمُهَا كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ، فَمَنِ اتَّقَى الْمُشَبَّهَاتِ اسْتَبْرَأَ لِدِيِنِهِ وَعِرْضِهِ، وَمَنْ وَقَعَ فِي الشُّبُهَاتِ كَرَاعٍ يَرْعَى حَوْلَ الْحِمَى، يُوشِكُ أَنْ يُوَاقِعَهُ. أَلاَ وَإِنَّ لِكُلِّ مَلِكٍ حِمًى، أَلاَ إِنَّ حِمَى اللَّهِ فِي أَرْضِهِ مَحَارِمُهُ، أَلاَ وَإِنَّ فِي الْجَسَدِ مُضْغَةً إِذَا صَلَحَتْ صَلَحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ، وَإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُلُّهُ. أَلاَ وَهِيَ الْقَلْبُ ".
নু‘মান ইবনু বশীর (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি যে, ‘হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট। আর এ দু’য়ের মাঝে রয়েছে বহু সন্দেহজনক বিষয়- যা অনেকেই জানে না। যে ব্যক্তি সেই সন্দেহজনক বিষয়সমূহ হতে বেঁচে থাকবে, সে তার দ্বীন ও মর্যাদা রক্ষা করতে পারবে। আর যে সন্দেহজনক বিষয়সমূহে লিপ্ত হয়ে পড়ে, তার উদাহরণ সে রাখালের ন্যায়, যে তার পশু বাদশাহ্ সংরক্ষিত চারণভূমির আশেপাশে চরায়, অচিরেই সেগুলোর সেখানে ঢুকে পড়ার আশংকা রয়েছে। জেনে রাখ যে, প্রত্যেক বাদশাহরই একটি সংরক্ষিত এলাকা রয়েছে। আরো জেনে রাখ যে, আল্লাহর যমীনে তাঁর সংরক্ষিত এলাকা হলো তাঁর নিষিদ্ধ কাজসমূহ। জেনে রাখ, শরীরের মধ্যে একটি গোশতের টুকরো আছে, তা যখন ঠিক হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন ঠিক হয়ে যায়। আর তা যখন খারাপ হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন খারাপ হয়ে যায়। জেনে রাখ, সে গোশতের টুকরোটি হল অন্তর। (সহিহ আল-বুখারী, ১ম খণ্ড, হাদীস নং ৫২) (২০৫১; মুসলিম ২২/২০ হাঃ ১৫৯৯, আহমাদ ১৮৩৯৬, ১৮৪০২) (আ.প্র. ৫০,ই.ফা. ৫০)
অন্যায়, অপকর্ম ও আল্লাহ্র নির্দেশ বিরোধী কাজ করলে হৃদয় রোগাক্রান্ত হয়ে যায়। আর অন্যায় চলমান থাকলে এই রোগ আরও বৃদ্ধি পায়।
এ বিষয়ে মহান আল্লাহ্ তায়ালা বলেনঃ
«فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٞ فَزَادَهُمُ ٱللَّهُ مَرَضٗاۖ »
"তাদের অন্তরে রয়েছে রোগ এবং আল্লাহ সে রোগ আরো বাড়িয়ে দেন” [সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ১০]
«أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ ٱلۡقُرۡءَانَ أَمۡ عَلَىٰ قُلُوبٍ أَقۡفَالُهَآ»
“তারা কি কুরআনকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে না, নাকি তাদের অন্তরে তালা লাগানো” (সূরা মোহাম্মদ: ২৪)
মেডিকেল সাইন্স হৃদয়ের সব চিকিৎসা করতে পারে না। কারণ, এখনও পর্যন্ত এসমস্ত রোগ নির্ণয় করতে না পারার কারণে সেগুলির চিকিৎসা করতে পারে না। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন সেই সমস্ত রোগের বিষয়েও আমাদেরকে জানিয়েছেন। এ ধরণের রোগ নিজের কারণে সৃষ্টি হতে পারে আবার অন্যের মাধ্যমেও হতে পারে। তাই, এই রোগ থেকে নিরাপত্তা ও মুক্তি পাওয়া বা চিকিৎসার জন্য আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে চিকিৎসা পদ্ধতি জানিয়েছেন। সেগুলো হল- কিছু বিশেষ দোয়া ও জিকির। যেমনটি একদা- নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। কারণ, তাকে যাদু করা হয়েছিল ............... এর পরের ঘটনা আশা করি পাঠকদের জানা। ......... নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অসুস্থ্যতা থেকে সুস্থ্যতায় আনতে আল্লাহ্ তায়ালা ফিরিশতার মাধ্যমে সূরা নাস ও সূরা ফালাক্ব পাঠালেন। আতপর এই সূরাদ্বয়ের আয়াত সমূহ পাঠে তিনি সুস্থ্য হয়ে উঠেন (সংক্ষেপিত; বিস্তারিত জানতে দেখুন- তাফসীরে ইবনে কাসীর ও আহসানূল বায়ান, সূরা নাস ও ফালাক এর তাফসীর।
মানুষের মন্দ কর্মের কারণে যেমন তার হৃদয়ে রোগের সৃষ্টি হয়, ঠিক তেমনই ভাল কাজের মাধ্যমে তার নিরাময় হয়। আর এক্ষেত্রে ভাল কাজের পাশাপাশি আল্লাহ্র সাহায্য চাওয়া অত্যান্ত জরুরী। যেমনটি আল্লাহ্র নাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাইতেনঃ
«يا مقلب القلوب ثبت قلبي على دينك»
“হে অন্তর পরিবর্তনকারী। আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত করে দাও।” (সুনান আত-তিরমিযী, কিতাবুল কদর, খণ্ড.১৩পৃ.২১, হাদীস নং ৩৮৬৪)।
*** প্রিয় পাঠক! আমরা হৃদয়ের উপর মানুষ বা জ্বীন কর্তৃক জাদুর প্রভাব ও মানুষের উপর জ্বীনের প্রভাব আর তা' দ্বারা হৃদয় আক্রান্ত হয়ে বিভ্রান্তী সৃষ্টি, স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া, অস্থিরতা অনুভব করা, সন্দেহ প্রবনাতা তৈরি হওয়া, প্রলাপ বকা, কোন কাজ না করেও করেছি বলে মনে হওয়া ইত্যাদি- এ বিষয়টি নিয়ে আলাদা একটি লিখনিতে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ্!
এখন আসুন জেনে নেই, হার্ট ডিজিজ বা হৃদরোগ থেকে বেঁচে থাকতে আমাদের কি কি করনীয়ঃ
কিছু কিছু হৃদরোগ রয়েছে যা অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করতে হয়। এখানে আমাদের তেমন কিছু করার থাকে না। যেমনঃ কনজেনিটাল হার্ট ডিজিজ; হার্টের ভাল্বের সমস্যা। তাছাড়া প্রায় রোগি আমরা প্রতিরোধ করতে পারি, নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি যদি আমরা একটু স্বাস্থ্য সচেতন হই। আল্লাহ্ তায়ালার বান্দা হিসাবে তাঁর দেয়া নির্দেশ মেনে চলি। আমি এখানে আধুনিক মেডিকেল সাইন্স যে বিষয়গুলির গুরুত্বারোপ করেছে সেগুলি তুলে ধরছি।
১) ধূমপান পরিত্যাগ করাঃ ধূমপান হৃদরোগের অন্যতম প্রধান কারণ। (যেমনঃ atherosclerosis)
২) মদ পান হতে বিরত থাকা (যদিও কেউ কেউ সামান্য পরিমাণ খাওয়ার অনুমতি দিয়ে থাকেন, তবে আমি বলব) অল্প পরিমাণ গ্রহণ করা থেকেও বিরত থাকতে হবে। [এ বিষয়ে উপরে হাদিস বর্ণীত হয়েছে]
৩) উচ্চ রক্তচাপ (হাই ব্লাড প্রেসার) নিয়ন্ত্রণে রাখা। (স্বাভাবিক রক্তচাপ 120/80 mm Hg)
৪) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখাঃ যাদের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে তাদের নিয়মিত Blood Test করে রক্তে Sugar এর পরিমাণ জেনে নিয়ে তা' নিয়ন্ত্রণে রাখা।
৫) কলেস্টেরল চেক করে জেনে নেয়া । (সাধারণত LDL লেভেল 130 mg/dl পর্যন্ত ধরা হয়। তবে যদি কারো ডায়াবেটিস থাকে বা উচ্চ রক্তচাপ থাকে অর্থাৎ যদি কেউ হৃদরোগের ঝুঁকিতে থাকে তাকে LDL লেভেল 100 mg/dl তে রাখাই উত্তম।)
৬) চলাফেরা ও ব্যায়ামঃ অলস বসে না থেকে কায়িক পরিশ্রম ও প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করা অত্যান্ত জরুরী। কমপক্ষে ৩০মিনিট দৈনিক ব্যায়াম করা উচিৎ।
৭) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাঃ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যান্ত জরুরী। আপনার উচ্চতা, বয়স অনুযায়ী কতটুকু ওজন থাকা উচিৎ তা' জেনে অধিক ওজন কমিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার।
৮) স্ট্রেস বা চাপ (মানসিক, আত্মিক, দৈহিক) নিয়ন্ত্রণে রাখাঃ হৃদরোগের অন্যতম কারণ হচ্ছে স্ট্রেস বা চাপ। এর কারণে যেমন হৃদরোগ হয়ে থাকে তেমনই মানসিক ভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যার মত পথ বেঁছে নেয়।
৯) দুশ্চিন্তাঃ এটি একটি মারাত্বক সমস্যা। সর্বদা এ থেকে মুক্ত থাকতে সচেষ্ট হতে হবে।
১০) পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতাঃ এটা শুধু হৃদরোগ নয় যেকোন রোগের হাত থেকে আমাদের নিরাপদে রাখতে পারে। অপরদিকে অপরিস্কার ও অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় থাকার ফলে যে কোন প্রকার রোগ বিশেষ করে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগে আক্রান্ত হতে হয়।
১১) স্বাস্থ্য সম্মত খাবার গ্রহণ করাঃ এটা হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সম্মত খাবার গ্রহণ করা অত্যান্ত জরুরী। (এ বিষয়ে আলাদা পোষ্টে লিখব, ইনশাআল্লাহ্) এখানে শুধু বলে রাখি- বেশী বেশী শাকসবজি, ফলমূল, মাছ, শস্যদানা বা বিচিযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিৎ। তিন ওয়াক্ত ভাত না খেয়ে এক বেলা অন্তত রুটি খাওয়া জরুরী। শর্করা ও চর্বিযুক্ত খাবার পরিমিত গ্রহণ করা উচিৎ।
১২) মেডিকেল চেকআপঃ নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ করে (কিছু না হলেও অন্তত রক্ত ও প্রসাব) নিজের স্বাস্থ্যের বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকা জরুরী।
১৩) সর্বোপরি আল্লাহ্র কাছে দোয়া করা, সাহায্য কামনা করা। যেমনটি আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর নাবীর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে শিক্ষা দিয়েছেন।
আমরা সবাই চাই সুস্থ্য-সবল থাকতে। সুন্দর ভাবে পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে। আমরা কেউই চাইনা রোগগ্রস্ত হতে। আমাদের এই চাওয়াগুলিকে কার্যকর ও ফলপ্রসূ হতে আমাদেরকে অবশ্যই স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে। আমরা যদি আমাদের নিজেদের প্রতি সচেতন ও যত্নশীল হই তবেই আল্লাহ্ আমাদেরকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করবেন। আল্লাহ্ আমাদেরকে যেকোন প্রকার রোগ থেকে মুক্ত রেখে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করুন। সুন্দর হোক আমাদের জীবন।
#আপনি স্বাস্থ্য সচেতন হউন ও আপনার পরিবারের সকলকে স্বাস্থ্য সচেতন করে তুলুন।
---------- ডাঃ এম এম আব্দুল হালিম, ডিপার্টমেন্ট অফ কার্ডিওলজি, লুগান্সক ষ্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, লুগান্সক, উক্রেইন।